December 23, 2024, 7:33 pm

যৌতুকের দাবিতে হামলা ও আদালতে মামলা

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
  • Update Time : Friday, November 27, 2020,
  • 399 Time View
যৌতুক

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা পৌরসভার প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ২নং ওয়ার্ডের শ্যামলীবাগ এলাকার মোঃ জালাল মৃধার মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন এর সাথে একই এলাকার মোঃ মালেক বেপারীর ছেলে মোঃ নেছার উদ্দিন এর সাথে দীর্ঘ ৬ বছর যাবত প্রেমের পরে ইসলামী শরিয়ত মতে গত ৫ই এপ্রিল ২০১৯ ইং তারিখে বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।

মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্রে যানা যায় সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে একই এলাকার মোঃ নেছার উদ্দিন এর সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ৩ লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য্য করে ১৪ ই এপ্রিল ২০১৯তারিখে বিবাহেরর কাবিন নামা রেজিস্ট্রী হয়। এদিকে ইয়াসমিনকে আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে নেয়ার জন্যে ছেলে পক্ষের সাথে কথাবার্তা চালায় এবং ইয়াসমিনের শশুর মালেক বেপারী, শাশুড়ী আলেয়া বেগম, ও ভাসুর মোঃ শাহজাদা মিলন প্রাই ইয়াসমিনের বাবার বাড়ি আসা যাওয়া করত।

এক পর্যায় তারা তাদের ছেলের বৌকে উঠিয়ে নেয়ার কথা বলে এবং ১লা মার্চ ২০২০ তারিখে আসে ও এক সময় কথা বলর মাঝে তাদের ছেলের ব্যাংকের চাকরির জন্যে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক হিসাবে দাবি করে। এই ৫ লক্ষ টাকা উঠিয়ে নেয়ার আগে দেয়ার কথা বলে তারা, এদিকে এত টাকা তারা কি করে দিবে এই চিন্তায় পরে যায়।

এসব কথা বলার পর স্বাক্ষী গন উপস্থিত সকলকে অনুনয় বিনয় করে বলেন কাবিন করা সময় আমাদের প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গেছে এর পরে আমি এত টাকা কেথায় পাবো, আমার পক্ষে এত টাকা যৌতুক দেয়া সম্ভব হবে না। এতে করে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করে এবং বলে এই যৌতুকের টাকা দিতে না পারলে আমাকে স্বামীর ঘরে তুলে নিবে না এবং আমাকে তালাকের হুমকি ধমকি দেয়।

আমার ভাশুর শাহজাদা মিলন বলেন যৌতুকের টাকা না দিতে পারলে তোমাকে বিদায় দিয়ে আমার ভাইকে অন্যত্র বিবাহ করাবো। এবং বিভিন্ন ভাষায় গালাগালি করে চলে যায়। আমার বাবা স্বাক্ষীগন ও এলাকার গন্যমান্য লোক নিয়ে আপোষের চেষ্টা করে এতে কোন লাভ হয়নি।

এক পর্যায় আমি অসুস্থ হয়ে পরলে ততখানিক গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন আমি ডাক্তার মেজবাহ উদ্দিন এর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠি, পরে কোর্টে যৌতুক নিরোধ আইনের(৩) ধারায় মামলা দায়ের করি, যার নং সি আর, ১৬২/২০২০ নং মোকদ্দমা। এর পরে আসামীরা সালিশ মিমাংসার কথা বলে। এবং একাধিকবার তারিখ পরিবর্তন করে।

এর পরে ২২ শে জুলাই ২০২০ইং তারিখে বিকাল ৫ টায় বাদীর পিতার বাড়িতে আসে, কথা বলার এক পর্যায় আবার আগের ন্যায় তাদের সেই আচারন করে এবং আমাকে এই ৫ লক্ষ টাকা না দিলে তালাক দেবে এবং মারধর করে চলে যায়, যাবার সময় বলে যায় যৌতুকের টাকা না দিলে তাকে তুলে নিবে না।
এতে করে আমি পরবর্তিতে আবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩ এর ১১ (গ) /৩০ ধারায় মামলা দায়ের করি।

আমি ও আমার বাবা খুব অসহায় অবস্থা আছি,গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের মতো অসহায় গরীবের একটাই দাবি যৌতুকের দাবিতে যেন কোন অসহায় গরীব বাবা ও তাদের মেয়ে কষ্টে না থাকে। তাই আমি সাবিনা ইয়াসমিন আইনের কাছে সঠিক বিচার কামনা করছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71